DECLARATION

প্রকাশিত লেখা বা মন্তব্য সম্পূর্ণভাবেই লেখক/মন্তব্যকারীর নিজস্ব অভিমত এর জন্য ashiqurrahman.blogspot.com ব্লগ কর্তৃপক্ষকে কোনভাবেই দায়ী করা চলবেনা

সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০১১

তবুও তালগাছটা কিন্তু আমার... :D

Sequence of the previous note.........
Date: 11-10-2011, 7:08 am
Author: Unknown(A Sister)
Source: Collected




আউ’যুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বনির রাজীম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।

নোটের টাইটেল দেখে মজা পেয়েছেন তাইনা। আমিও মজা পেয়েছি। :) তবে টাইটেল এর জন্য না, এই টাইটেল দেয়ার পেছনের ঘটনার জন্য। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছি যারা নিজেদের ভুল বুঝতে পারি কিন্তু তারপরও অন্যের ঘাড়ে ডিরেক্টলি, ইন্ডিরেক্টলি অথবার রিমোটলি দোষটা চাপাতে পারলে একটা হাঁফ ছাড়ি। হি হি। কিন্তু নিজে বদলাবো? উহু, কক্ষনো না।



ব্যপারটা অনেকটা এরকম যে, আমি কাউকে একটু পর চিমটি কাটছি, ভেংচি কাটছি ইত্যাদি ইত্যাদি।কিন্তু সে যদি উল্টো কিছু বলে তাহলেই হয়েছে। :)



ঠিক এরকম সিচুয়েশন আমি প্রায়ই ফেস করি যখন আমার বোনদের পর্দার কথা বোঝাতে যাই।

তারা অনেকেই অনেক কথা বলে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঘুরে ফিরে এগুলোই বলে---

১। কুর’আনে ছেলেদের পর্দার কথা আগে বলা হইসে।
২। তাইলে ৪/৫ বছরের বাচ্চা রেপ হয় কেন?
৩। ছেলেরা খারাপ,মেয়েদের সম্মান করে না।
৪। সব ছেলে এক রকম না।
৫। বোরকা পরা মেয়ারা তলে তলে অনেক খেমটা দেখায়।


এই সব যুক্তি একটা কথাতেই ঊড়িয়ে দেয়া যেত----

“তুমি কি আল্লাহ্‌র চাইতে বেশি বোঝ?”

কিন্তু ব্যাপারটা যদি এতেই রফা দফা হয়ে যেত, আর আমার বোনরা আল্লাহ্‌র কথা স্মরণ করে পড়িমরি করে নিজেদের পর্দার ব্যপারে ব্যস্ত হয়ে ঊঠত তাহলে তো কোন কথাই ছিল না। কিন্তু যারা আল্লাহকে শুধু ইসলাম শিক্ষা বইয়ের পাতায় চিনেছে , উপলব্ধি করে নি তাদের কাছে এমন আশা করা যায় না। তাই আমি তাদের কথার প্রেক্ষিতে কিছু ব্যাখা দাঁড় করানোর চেষ্টা করব,ইনশা’আল্লাহ।

তবে সবার আগে আমি একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই। একজন মুসলমান নিজেকে আত্নসমর্পন করে কম্লিটিলি। সে যদি ইসলামের কোন বিষয়কে খারাপ মনে করে/মনে করে যে দরকার নেই , সে ইসলামের গন্ডী থেকে বের হয় যায়। আর যদি এটা জানে যে সে যা করছে সেটা ভুল ,ইসলাম যা বলেছে ঠিক বলেছে,কিন্তু কোন কারনে তা পালন করতে পারছেনা, তবে সে গুনাহগার হবে কিন্তু ইসলামের গন্ডি থেকে বের হয়ে যাবে না।

এজন্য আপুরা, যারা মনে করেন যে পর্দার দরকার নেই/ এটা ভাল কিছু না তবে আপনারা চিন্তা করে দেখুন আপনারা কোন অবস্থানে আছেন। আপনি যদি মেনেই নিয়ে থাকেন যে, আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন ইলাহ নেই তবে আপনার এই মানসিকতা আপনার বিশ্বাসকে কন্টাডিক্ট করছে। আপনি যদি আসলেই বিশ্বাস করেন যে আল্লাহ আপনার স্রষ্টা তবে এটাও আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে যে, যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন, আপনার জন্য কি ভাল,কি মন্দ সেটা তাঁর থেকে বেশি কেউ জানে না। আর আপনার রব ন্যায়পরায়ণ, তিনি কারো সাথে অন্যায় করেন না। সুতরাং আপনি যদি মনে করেন মেয়েদের পর্দার ভেতরে থাকার আদেশ দিয়ে তাকে ছোট করা হয়েছে/ তাকে বন্দী করা হয়েছে/ তার অধিকার খর্ব করা হয়েছে তাহলে আপনি আল্লাহ্‌র সম্পর্কে বাজে ধারনা এবং মিথ্যা ধারণা পোষণ করলেন। আর এগুলো মুখে বললে তাঁর নামে মিথ্যা আরোপ করলেন।

এবার আসি আপনাদের অভিযোগগুলোর পর্যালোচনায়।


১। কুর’আনের ছেলেদের পর্দার কথা আগে বলা হইসে

----এক্কেবারে ১০০% ঠিক কথা। কোন পুরুষের অধিকার নাই আপনার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকার। তাই আপনি লক্ষ্য করলে দেখবে যে , যেই ভাইয়েরা কুর’আন মেনে চলেন/ সুস্থ বিবেক আছে তারা কোন গায়ের মাহরাম নারীর দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকেন না। [mind it,আমি বলেছি যারা কুর’আন মেনে চলে,এটা বলিনি যে যারা কুর’আন পড়ে।]

কিন্তু আপু, এই আয়াতে পরের আয়াতেই আমাদের পর্দার কথা বলা হয়েছে,কিভাবে করতে হবে তাও বলা হয়েছে এবং আয়াতটি বেশ লম্বা। আগের আয়াতে পুরুষদের বলা হয়েছে দৃষ্টি সংযত করা ও যৌনাংগ হেফাযত করার কথা ,পরের আয়াতে নারীদের এর পাশাপাশি আরো অ্যাডিশনাল নির্দেশিকা দেয়া আছে---

“ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।” সূরা নূরঃ৩১

আর আপু, ছেলেরা পর্দা না করলে আল্লাহ কি আপনাকে জিজ্ঞেস করবেন ,”বল, ওই ছেলে কেন পর্দা করেনি?” দুনিয়ার সব মেয়ের দিকে তারা কুদৃষ্টি নিয়ে তাকালেও আল্লাহ কি আপনার কাছে তার জবাব চাইবেন?

তাই, দয়া করে পুরুষদের দৃষ্টির সংযম নিয়ে আপনার এত মাথা ব্যাথার দরকার নাই। আপনি আপনার টা করেন। আল্লাহ্‌ আপনাকে আপনার কর্তব্য সম্পর্কেই জিজ্ঞেস করবেন।
আর যদি ধরেই নেই আপনি ভাইদের আসংযমি দৃষ্টির কারনে তাদের শাস্তি হবে এই জন্যই কন্সার্ন(?),তাহলে দয়া করে নিজেকে প্রপারলি আবৃত করে তাদের দৃষ্টি সংযত করতে সাহায্য করুন।


২। তাইলে ৪/৫ বছরের বাচ্চা রেপ হয় কেন?

শুনে মনে হয় যেন মেজরিটি পুরুষরাই বাচ্চাদের রেপ করে। যেকোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষই বুঝবে যে এরা বিকৃত রুচির পিওর শয়তান। আল্লাহ এদের কঠিন শাস্তি দিন, দুনিয়া ও আখিরাতে। আমীন।

[তবে হ্যাঁ, অনেকেই ১২/১৩ বছরের মেয়েদেরকেও বাচ্চাই মনে করেন। তারা শারীরিক ভাবে বেশির ভাগ ক্ষত্রেই কিন্তু বাচ্চা থাকেনা। সুতরাং তাদেরকে শকূনদের থেকে আড়াল করে রাখাই আমাদের কর্তব্য। শকূনদের গায়ে তো আর সিল মোহর মারা থাকে না। তাই বোনেরা , সাবধান! আপনার ১২/১৩ বছরের ছোট বোন/ ভাতিজি/ভাগনিকে সাবধানে রাখুন। এই বয়সের মেয়েরা বেশিরিভাগ ক্ষেত্রে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। আর এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে নিকট আত্নীয়, যেমনঃ চাচাত/মামাত/খাত ভাই, খালু/ফুফা , দুঃসম্পর্কের মামা/চাচা এরাই এই ধরনের জঘন্য কাজ করে থাকে। আল্লাহ্‌ হেফাযত করুন]



৩। ছেলেরা খারাপ,মেয়েদের সম্মান করে না।
আপু, একটা ছেলে যদি একটা মেয়েকে দেখে আকর্ষন বোধ করে এতে খারাপ কিছু নাই। এটাই স্বাভাবিক। অনেকেই আমার আগের নোট পড়ে মনে করেছেন ,”They are created like this” এটা বলে আমি বোঝাতে চেয়েছি পুরুষ মানুষ কামলিপ্সু পশু। বরং আমি বোঝাতে চেয়েছি মেয়দের exposure যে পুরুষদের desire initiate করে এটাই স্বাভাবিক, এটাই ন্যাচারাল।

এখন দেখুন আপু, আপনি যদি একটা ছেলের সামনে তার ডিসায়র জাগায় এমন ভাবে নিজেকে প্রেসেন্ট করেন তাহলে নিজের ডিসায়ারকে ছাপিয়ে আপনার প্রতি সম্মান যে তার আসবেনা এটাই স্বাভাবিক(বেশির ভাগ ক্ষেত্রে)। আর এটা প্রুভড ফ্যাক্ট যে sexual desire is one of the strongest desires. আচ্ছা বলেন তো, একটা রোযাদার মানুষের সামনে আপনি এক প্লেট গরম বিরিয়ানি নিয়ে বসে তার সামনে যদি রোযাদারের না খেয়ে থাকার সওয়াব নিয়ে আলোচনা করতে থাকেন তবে সে আপনার কথায় কতটুকু কান দেবে?

আমরা যদি চাই তারা আমাদের সম্মান করুক তবে সেই পরিবেশ আমাদেরকেই সৃষ্টি করতে হবে।


৪। সব ছেলে এক রকম না।

Exactly,সত্যি কথা। কিন্তু আপনার কাছে কি “Intention detector” type কোন ডিভাইস আছে? আপনি কি জানেন কার মনে কি চলছে?

৫। বোরকা পরা মেয়ারা তলে তলে অনেক খেমটা দেখায়।

কিন্তু খেমটা দেখায় তো মেয়েরা। বোরকার কি হাত পা আছে নাকি যে নিজে নিজে খেমটা দেখাবে? এ যেন এরকম, কেউ চাকু দিয়ে খুন করেছে, কেউ কারো ঘরে আগুন দিয়েছে, কেউ ইলেক্ট্রিক শক খেয়েছে এই জন্য দুনিয়ার কেউ চাকু ব্যাবহার করতে পারবেনা, কেউ আগুন ব্যাবহার করতে পারবেনা, আর ইলেক্ট্রিসিটি ব্যাবহার তো এক্কেবারেই না। ভেবে দেখুন তো কেমন অচলাবস্থা হবে দুনিয়ার। ঠিক এই ধরনের মানসিকতার জন্য আমাদের মূল্যবোধের একই অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।


আপনি যদি মানেন যে কিছু চরিত্রহীন মেয়ে বোরকার অপব্যবহার করছে তাহলে এটা আমার এবং আপনার দায়িত্ব প্রপারলি পর্দা করে এটা নিশ্চিত করা যে , দোষ বোরকার না। দোষ বোরকার ভিতরের মানুষটার।

যখন আমার সৃষ্টিকর্তা আমার জন্য ট্রেন্ড সেট করে দিয়েছেন তখন আমি মানুষের বানানো ট্রেন্ড কেন অ্যাক্সেপ্ট করব? আমি আল্লাহ্‌র দাস না মানুষের?

আপু, আমি জানি এত কিছু বলার পরেও আপনারা হয়তো চিন্তা করবেন কিভাবে শুরু করবেন, অন্যরা কি বলবে, আপনি তৈরি কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি জানি আপনারা অনেকেই ফীল করেন পর্দা করা দরকার, হয়ত অনেক কারনেই পারেন না। সংশয়, ভয় আরো অনেক কিছুই থাকতে পারে। কিন্তু জানেন ---

EXCEPT ALLAAH

If I deny to stop, no one can resist me.

If I deny to fear, no one can make me afraid.

If I deny to hear, no one can make me listen.

If I deny to bow down, no one can humiliate me.

I deny being the entertainment of the eyes of men.


I DENY.

Motivate Ourself

Date: 11-10-2011, 6:43 am
Author: Unknown.
Source: Collected.

আমার ভেতর থেকে প্রচন্ড তাগিদ না পেলে আমি লিখতে বসিনা। ওটা আমার কাজও না। ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতেও আমার আপত্তি নেই যতটা আপত্তি এই লিখার ক্ষেত্রে। এই লিখা যখন লিখছি তখন প্রচন্ড রাগে আমার গা জ্বলছে।

আমি এত ভূমিকা না করে সরাসরি আসল কথায় আসি। স্পা না করলে কি মেয়েরা মরে যাবে? বাঙ্গালী মেয়ারা যথেষ্ঠ রূপবতী। এই রূপ গত কয়েক বছরে ধুম করে জেগে ওঠেনি। তারা আগেও রূপবতী ছিল এখনো আছে। আমি জানিনা যে স্পা তে এমন কি আছে যে তার রূপে এমন বিশেষ কিছু অ্যাড করবে যা না থাকলে তার জীবন চলবেনা? যার কারনে অন্য একজন মানুষের সামনে আধা নগ্ন হয়ে body message করাতে হবে। লজ্জা শরমের মাথা কি কাঁচাই খেয়ে ফেলছি আমরা?

আমাদের মায়েরা ,দাদীরা,নানীরা তো কোনদিন এইসব করেনি। তাতে কি আমাদের বাবারা, নানারা,দাদারা তাদের ছেড়ে চলে গেছে? না তাদের বিয়ে হয়নি? কি ক্ষতি হয়েছে তাদের যারা নিজেদের অন্যের সামনে কাপড় খুলে শরীর মর্দন করান নি?

আমি নিজে মেয়ে মানুষ। আমি খুব ভাল করেই জানি মেয়েরা এত সাজ গোজ কেন করে। খুবই সিম্পল উত্তর। মানুষ তাদের দিকে তাকাবে , প্রশংসা করবে। কার না ভাল লাগে প্রশংসা শুনতে! আমারো ভাল লাগে।কিন্তু আপারা দুনিয়ায় খালি আমরা মেয়েরাই নাই। আমাদের ভাইরাও আছে। সৃষ্টিগতভাবে যারা আপনাদের উপর এবং আপনারা তাদের উপর দূর্বল। কিন্তু এইটা ভাইদের ক্ষেত্রে একটু না অনেক বেশি। এই কথাগুলা বলতে আমার খুবই খারাপ লাগে। অনেক বেশি লজ্জা লাগে এই জন্য যে এত ব্যাখ্যা করে আমার বোনদেরকে এসব আমার বলতে হয়। আমি বাংলায় এসব লিখতে পারবনা।

Most of the man gets sexually aroused when---

আপনি টাইট ফিটিং কাপড় পরেন।
আপনি ওড়না পরেন না/ গলায় ঝুলায় রাখেন/ একপাশে ঝুলায় রাখেন।
আপনি যখন অর্ধস্বচ্ছ কাপড় পরেন।
আপনার পেট/পা/পীঠ যখন দেখা যায়।
আপনি যখন ঠোঁট রাঙ্গান।
আপনি যখন চোখে স্মোকি সাজ পরেন।

আরও শত শত কারন থাকতে পারে।

কি ? মনে হচ্ছে যে ছিঃ ছিঃ ছেলেরা এত খারাপ! তাইনা? The fact is that they are CREATED like this. Do you understand my dear sisters? THEY ARE CREATED BY ALLAAH LIKE THIS.

শুধু আল্লাহ্‌র ভয়/সমাজের ভয়/ ভালত্ব/ সুস্থ বিবেক আছে দেখেই এখনো কোন ভাই এই ধরণের আপাদের রাস্তায় ধরে কষে কষে কয়েকটা চড় বসান নি।[আল’হামদুলিল্লাহ। এই বিপদ আমার উপর আসার আগেই আল্লাহ্‌ আমাকে রক্ষা করেছেন।একবার কি হল, তখনো আমি ঠিকমত হিজাব করিনা, মাথায় একটু আধটু কাপড় দেই। একদিন প্রচন্ড গরমের মধ্যে ক্লাসে গেছি। মাথায় কাপড় দেইনি। আমাদের সাথে সিনিয়র অফিসাররাও ক্লাস করতেন। এঁদের মধ্যে একজন ভাই পুরো ক্লাসের মধ্যে আমাকে এমন ঝাড়ি দিলেন! টিচার ছিল, সব স্টুডেন্ট ছিল। আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম, ক্লাস থেকে বের হয়ে গেছি। অনেক কান্নাকাটি করেছি। ভাইয়া আমাকে বলেছিলেন, "The Jews know our scriptures better than us, but they do not follow.[Inspite of knowing about hijab you don't wear it properly,so] Do you think you are better than that Jew?" এই একটা কথা আমার ভেতরটা কাঁপিয়ে দিয়েছিল। আমি বলেছিলাম হিজাব পরলে আমার কষ্ট হয়, দম বন্ধ হয়ে যায়, এ সি রুমেও ঘামতে থাকি। উনি বললেন, " Did you ask Allaah to help you with this?" আসলেই তো, যার জন্যে হিজাব করছি তাঁর কাছেই তো সাহায্য চাইনি। আমি আর কোন উত্তর দিতে পারিনি ভাইয়াকে। উনি ঠিক কথাই বলেছিলেন আমাকে। হয়ত রুক্ষভাবে বলেছেন,কিন্তু ওই সময় আমার জন্য ওগুলো থাপ্পড়ের কাজ করেছে, আল'হামদুলিল্লাহ এখন তীব্র গরমেও মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে রাখলেও আমার কোন অসুবিধা হয় না। আমি গরম লাগার দোহাই দিই। কিন্তু ওইদিন কি হবে যেদিন সূর্য মাথার এক হাত উপরে থাকবে। আল্লাহ্‌ মাফ করুন। ]


আপারা,আরো কয়েকটা uncensored কথা বলি। এটা জানেন তো যে মানুষ(অধিকাংশ) খুব সহজেই বোর হয়ে যায় আর নতুন কিছু খুঁজতে থাকে যা তাকে আনন্দ দেবে। পশিমাদের মধ্যে হোমসেক্সুলালিটি এত বেশি এর কারন নিয়ে কখনো চিন্তা করেছেন? কেন যেখানে চাইলেই মানুষ আপনার বিছানায় আসতে রাজী সেখানে কেন মেয়ে মেয়ের সাথে ছেলে ছেলের সাথে যেতে চায়? এরা নারী দেহ দেখতে দেখতে ক্লান্ত। এদের রূচি আস্তে আস্তে বিকৃত হয়ে গেছে। এখন তারা নিজেদের মধ্যে থেকেই সংগী খোঁজে। আল্লাহ্‌ মাফ করুন। হেদায়েত দিন।

আপারা, আমার লেখা এলোমেলো হচ্ছে আমি জানি। রেগে আছি তো তাই।

একটা কথা বলি শোনেন। আপনি মানুষকে যা দেখাবেন তা দেখেই তারা আপনার মূল্যায়ন করবে। মানুষের শরীরের সৌন্দর্য এক সময় শেষ হয়ে যায়। তাই আজকে যারা আপনাকে বলছে, তোকে তো দারুন লাগছে/ আপনার ফেসবুকের ছবিতে প্রশংসার পর প্রশংসা করে যাচ্ছে...... ।।আর এই সব দেখে আপনি খুশিতে ডগমগ করেন।।আজ থেকে ২০ বছর পরের কথা চিন্তা করেন...এই ছেলেরা তখন ৩৮/৪০ ।তখন আপনার প্রশংসা করবেনা। তারা কিন্তু ঠিকই ১৬-২৫ দেরকেই খুঁজবে।

কিন্তু আপারা, একটা কথা জানেন? মনের সৌন্দর্য শেষ হয় না। মন জরাগ্রস্ত হয়না। একটা সুন্দর মন, শালীন দেহ সর্ব কালে সর্ব যুগে প্রশংসিত। আজকের বোরকা পরা মেয়েকে দেখলে যেমন আপনার যারা প্রশংসা করে সেই ছেলেরাও মাথা নামিয়ে নেয়,আমার দাড়ি টুপি ওয়ালা ভাইরাও নামিয়ে নেয়। আজ থেকে ২০ বছর পর দেখলেও তারা দৃষ্টি নামিয়ে নিবে, ইনশা’আল্লাহ। আমার এই বোনেরা আজকেই সম্মানিত। কালকেও থাকবে ইনশাআল্লাহ্‌। আর আপনাদের কি হবে? আজকে আপনারা যাদের চোখ জুড়াচ্ছেন কাল তারা আপনার দিকে তাকাবেই না। আর সম্মান??? সেটা আজকেও কেউ আপনাদের করেনা, ভবিষ্যতে করবে কি আল্লাহ্‌ ভাল জানেন।

আপারা, চাকরানী চেনেন??? দাসী চেনেন??? আপনার হলেন পুরুষদের চাকরানী নয়তো মেকাপের দাসী। ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নিয়ে এত সাজ গোজ যে করেন...পরে তো সেগুলো তত কষ্ট করেই ঘষে ঘষে তুলে ফেলতে হয়। কি লাভ এই কৃত্তিমতার?

এই যে একেকজন ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং , ভার্সিটিতে পড়ছেন অথচ নিরেট মূর্খের মত আচরণ কেন করছেন?

আপনার এত এত বিদ্যা আপনাকে কেন রঙ চঙ্গের আশ্রয় নেয়া থেকে বাঁচাতে পারেনা???

কেন অফিসে/অফিসিয়াল কনফারেন্স/কনভোকেশন/নবীন বরণ/ ফেয়ারওয়েলে যাবার আগে আপনার নিজের চেহারায় এত ঘষা মাজা করতে হয়? এসব যায়গার তো আপনি আপনার লেখাপড়ার কল্যানেই যাচ্ছেন তাই না? তাহলে কেন সব কিছু ছাপিয়ে আপনার সাজ গোজ সেখানে প্রাধান্য পাবে???

কি করলেন এত লেখাপড়া করে যা আপনার মানসিকতাকে বদলাতে পারেনি?

দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়েও কেন আপনাকে ছোট ছোট কাপড়, কিছু রঙ চঙ্গের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। বলতে পারেন?

আপারা বলেন তো দেখি আপনার এক মাসের পার্লারের খরচ দিয়ে কয়জন ক্ষুধার্ত মানুষকে খাওয়ানো যায়? আচ্ছা ধরলাম চালের কেজি ৫০ টাকা। ২০০০ টাকা হলে এক মণ চাল হয়। একটা ছোট পরিবারের ১৫-২০ দিনের খাবার ব্যবস্থা হয়ে যায়। কোনদিন ৫০০ টাকা খরচ করে ১০ কেজি চাল কিনে কোন দরিদ্র মানুষকে দেয়ার কথা ভেবেছেন কখনো? অথচ আপনার পা ঘষে দিলেই আপনি ৫০০ টাকা পার্লারে দিয়ে আসেন। কি আশচর্য! আপনি যখন পা দলাই মলাই করে নিচ্ছে তখন কোথাও কোন সনাবরু না খেতে পেয়ে গলায় দড়ি দিচ্ছে।